সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
হাইকোর্ট এর আদেশ মানছেন না তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন । তাহিরপুর উপজেলাধীন শ্রীপুর বাজার নৌকাঘাটের উপর মহামান্য হাইকোর্টের দায়েকৃত রিট পিটিশন বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। গত ৩জুন ২০২০ইং তারিখে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে এ আবেদন করেন তাহিরপুর উপজেলার মনতলা গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান।
আবেদন সূত্রে যানা যায় তাহিরপুর উপজেলাধীন ডাম্পের বাজার নৌকা ঘাটের ১৪২৬বাংলা সনের দখলনামা প্রদান অনুযায়ী উপজেলা খেয়াঘাট/নৌকাঘাট ইজারা ব্যাবস্থাপনা ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি গত ৩ডিসেম্বর২০১৯ইং তারিখের সভার সিদ্ধান্ত এবং উপজেলা পরিষদের গত ১৮ই এপ্রিল ২০১৯ইং তারিখের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি খেয়াঘাট/নৌকাঘাট ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুসরণে ডাম্পেরবাজার নৌকাঘাটটি ১৪২৬বাংলা সন মেয়াদে উপজেলার মনতলা গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে মতিউর রহমানের অনুকুলে প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এবং মতিউর রহমান ইজারাদার হিসেবে প্রাপ্ত হয়ে সরকারি ইজারা মুল্য ও অন্যান্য সরকারি করাদি পরিশোধ করে ১৪২৬সনের ইজারা ভোগ করেন। ২০২০ইং সালে নতুন করে ইজারা পাওয়ার জন্য মতিউর রহমান মহামান্য হাইকোর্টে গত ২৬ফেব্রæয়ারী ২০২০ইং তারিখে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন যার নং-৩১৪৭/২০২০ইং । রিট পিটিশনে গত ৩মার্চ ২০২০ইং তারিখে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী মতিউর রহমানকে ইজারা প্রদানের জন্য উল্লেখ করা হয়। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশ মানছেন না তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন এমন অভিযোগ করেন সাবেক ইজারাদার মতিউর রমান। তিনি বলেন হাইকোর্ট এর আদেশ অনুযায়ী আমাকে ইজারা প্রদানের জন্য গত ১৫ই মার্চ ২০২০ইং তারিখে আদেশ দিলেও তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিনি হাইকোর্ট এর আদেশ পাওয়ার পরও তা বাস্তবায়ন না করে তিনি গত ১৪ই মে ২০২০ইং তারিখে নিজের মনগড়া ভাবে অন্য একজনকে ইজারা প্রদান করেন। মতিউর রহমান বলেন জেলা প্রশাসক তদন্ত সাপেক্ষে নতুন ইজারাদার বাতিল করে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন করার ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট আমি আবেদন করেছি।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার বিজন ব্যানার্জী বলেন এটা সরকারী ঘাট হিসেবে খাস কালেকশনে রাখা হয়েছে এবং মহামান্য হাইকোর্টের নিদের্শনা মেনে ঘাটটি ইজারা দেয়া হবে। তবে মতিউর রহমান যিনি মহামান্য হাইকোর্টে রিট করেছেন তিনি নাকি গেল বছরের ইজারাদার হিসেবে ঘাটটি ইজারা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন এবং তিনি যে টাকায় ্ইজারা নিয়েছিলেন সেই টাকায় আবারো ইজারা দাবী করলেও সেই টাকায় ইজারা দেয়া সম্ভব হবে না বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আহাদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।